Akter Chowdhury
Posts : 5 Join date : 2009-02-08
| Subject: হাঁটা প্রতিযোগিতা বন্ধে কর্মসূচি - সৈকত সংরক্ষণ কমিটি'র আত্নপ্রকাশ। Tue Mar 03, 2009 3:12 am | |
| সমুদ্র সৈকতের জীববৈচিত্র বিধ্বংসী হাঁটা প্রতিযোগিতা বন্ধে কর্মসূচি ঘোষনা। ককসবাজার দীর্ঘতম সৈকত সংরক্ষণ কমিটি'র আত্নপ্রকাশ। ।।ফজলুল কাদের চৌধুরী।। ককসবাজার সমুদ্র সৈকতের জীববৈচিত্র ধ্বংস করে টেকনাফ থেকে ককসবাজার সৈকত পর্যন্ত হাঁটা প্রতিযোগিতা বন্ধের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে ককসবাজারে কর্মরত সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী. রাজনৈতিক নেতা ,বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও ছাত্রছাত্রীদের এক মতবিনিময় সভায় এ কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার বেলা একটায় জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান, বৃহস্পতিবার থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, ছাত্র শিক্ষক সহ পর্যটন নগরীর সর্বস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময়, ১৯ মার্চ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। সে সমাবেশে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে। সভায় বক্তাগন বলেন, এখন কচ্ছপ,কাঁকড়া ,বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও কীটপতঙের ডিম পাড়া মৌসুম। কচ্ছপ সমুদ্রের মরা জীবজন্তু খেয়ে সমুদ্রের স্বচ্ছ ও নির্মল পরিবেশ রক্ষা করে। এ কচ্ছপ কোন কারণে বিলুপ্ত হলে লক্ষকোটি মরা প্রাণীর কারণে সমুদ্রের পানি মারাত্নকভাবে দূষিত হয়ে পড়বে। ফলে ভূগর্ভস্থ পানিও দূষিত হয়ে যাবে। দূষিত পানির কারণে মানুষ তথা প্রাণীকূলও ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই মানুষের জীবন রক্ষার প্রয়োজনে কচ্ছপকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া কাঁকড়া মৃত পঁচা খেয়ে সৈকতের পরিবেশ রক্ষা করে। কাঁকড়া না থাকলে সৈকতের পূঁতিগন্ধময় পরিবেশের কারণে আশেপাশে বসবাস অসম্ভব হয়ে পড়তো। তাই এ প্রাণী দু'টি রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘের আয়োজিত কনভেনশনে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। এ গুলো রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকারের উচিত সৈকতের প্রাণবৈচিত্র রৰায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা। মতবিনিময় সভায় ককসবাজার দীর্ঘতম সৈকত সংরক্ষণ কমিটি নামে একটি সংগঠনের আত্নপ্রকাশ ঘটে। এখন থেকে এ সংগঠনের ব্যানারে কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটি নিম্নরূপঃ উপদেষ্টা- পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, মৌলানা ইয়াসিন হাবিব, আলহাজ্ব আবদুলশুক্কুর। আহ্বায়ক-জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ শাহজাহান , যুগ্ম আহ্বায়ক -সাংবাদিক মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ শারমিনা রেশমিন,সাংবাদিক আবুতাহের চৌধুরী, সাংবাদিক শামশুল হক শারেক,সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা, বেগম খোরশেদ আরা হক,প্রকৌশলী কানন পাল, নাট্যজন কামরুল হাসান, সাংবাদিক আবদুল মাবুদ,এস এম আনোয়ার হোসেন, জাহেদ সরওয়ার সোহেল,আহমদ গিয়াস, হাসানুর রশিদ,দীপক শর্মা দীপু, মুক্তিযোদ্ধা হাজী বশির আলম,রমজান আলী বাহাদুর, এসএম জাফর,রাজিব দেব দাশ। নির্বাহী সদস্য ঃ সাইফুর রহিম শাহীন,মহসিন শেখ, এম ইব্রাহীম খলিল মামুন, শফিউল্লা শফি, নুফা আলম, হোসাইন রাহমান রাইয়ান, আবুল মাসুদ মিশুক,সাইদুল ইসলাম,নিয়াজ হানিফ রনি,রাসিফ আহমেদ,আজাদ মনসুর,সাইফুল আজম ও শবনম মুস্তারী চৌধুরী প্রমূখ। সদস্য সচিব সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী।
| |
|